স্টাফ রিপোর্ট: নরসিংদীর পলাশে পুলিশ বাহিনী জোরপূর্বক ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে তা বানচাল করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচী পালনকালে এই বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় ড. আব্দুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, 'বিএনপি হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেই, পুলিশের উস্কানির মুখেও কোন দ্বন্দ্বে যাইনি। ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করবো।'
ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভেতরে কোন গণতন্ত্র হতে পারে না, সেই কারণে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, কিন্তু দু:খের বিষয় আজকে ৫০ বছর পরে আওয়ামী লীগ যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে তারাই স্বাধীনতার মূল উপজীব্য গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এভাবে কোন জাতিকে রুখে দেওয়া যায় না। অন্যায়ের প্রতিকার হবে, বাংলাদেশের মানুষ এদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে।
তিনি বলেন, 'সরকারকে পদত্যাগ করে একটি তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যারা জনগণের ভোট পাবে তারা সরকার গঠন করবে।'
জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচীতে এসময় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. জসীম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুল হক সদ্য কারামুক্ত নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, আব্দুল মোমন খান স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব সারোয়ার মৃধাসহ ইউনিয়ন বিএনপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, 'পুলিশ কারো দলীয় কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি। রাস্তার দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র। আর ড. মঈন খান একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি তিনি সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি এলাকায় আসবেন বিষয়টি পূর্ব থেকে পুলিশকে অবগত করা হলে হয়তো এমনটা হতো না।'
জাগো নরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম