হলধর দাস: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে বিক্রয়ের অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলায় রোববার (২০ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে নিম্নআয়ের মানুষের নিকট টিসিবি'র পণ্য বিক্রয় শুরু করা হবে। দেশব্যাপী এ মহা কর্মযজ্ঞের অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলায় নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রণীত তালিকা অনুসারে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৬৮,৩৫৩টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিক্রয় শুরু করা হবে।
প্রথম ধাপে প্রথম দিনে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় সকাল ১০টা থেকে ১৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১০,০৭৯টি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ভর্তুকিমূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হবে।
আজ শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান।
প্রথম ধাপে প্রতি পরিবারের মাঝে ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি,৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল ও ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মালামাল বিতরণের লক্ষ্যে টিসিবি কর্তৃক উপজেলাভিত্তিক ডিলার নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া,প্রথম ধাপে বিক্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে টিসিবি হতে জেলা পর্যায়ে মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে এবং সেগুলো জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত গুদামে মালামাল প্যাকেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করার জন্য উপজেলা ও পৌরসভাসমূহে ট্যাগ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া,বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করণের লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা ও পৌরসভায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন,নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রেসক্লাবের সাধারণ হুমায়ূন কবির শাহ্, সাবেক কোষাধ্যক্ষ বাদল কুমার সাহা,সাবেক কোষাধ্যক্ষ হলধর দাস,সাবেক সভাপতি মাখন দাস,প্রেসক্লাবের সদস্য আকরাম হোসেন প্রমুখ।
সাংবাদিক হলধর দাসের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে ফ্যামিলি কার্ডধারী উপকারভোগী কোন সদস্য অনুপস্থিত থাকলে ওইদিনের ভর্তুকি মূল্যের মালামাল তারা পাবেন না।
ওই মালামাল গুাদমে ফেরতও আনা যাবে না। ওই সময়ে উপস্থিত অন্য কোন পরিবারের সদস্য সেই মালামাল কিনতে চাইলে ট্যাগ কমিটির মাধ্যমে কিনতে পারবে। ট্যাগ কমিটি নতুনদের তালিকাভূক্ত করে মালামাল বিক্রি করবে। অনুপস্থিত পরিবার সমূহ চলমান ধাপে কোন পণ্য পাবে না। হয়তো পরবর্তী ধাপে তারা ভর্তুকিমূল্যে মালামাল পাবেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুম এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী মোর্শেদ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেন, এনডিসি মেহেদী হাসান কাওসার,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিক সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।