স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরা ও পলাশ উপজেলায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নারী ও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় রায়পুরার হাঁটুভাঙ্গায় ও মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পলাশের ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুটি পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন, রায়পুরার হাঁটুভাঙ্গার মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫) এবং পলাশের ঘোড়াশালের রেলওয়ে বস্তি এলাকার মৃত ফয়জুদ্দীনের স্ত্রী লিপি বেগম (৫০)।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। পরে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর এগারো সিন্দুর ট্রেনটি ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করছিল।
এ সময় পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে বস্তির বাসিন্দা লিপি বেগম অসতর্ক অবস্থায় রেললাইন পার হতে গেলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ জানান, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি ঘটনায় রায়পুরা ও পলাশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী থাকায় এবং স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।