
হলধর দাস : নরসিংদী'র রায়পুরা উপজেলাধীন চরমধুয়া, মির্জারচর ও চাঁনপুর ইউনিয়নের কুলঘেষে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক নরসিংদী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এলাকাবাসী। বালু উত্তোলনের ফলে মেঘনা নদী ভাঙ্গন ও স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জরুরী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আহসান সিকদার,এডভোকেট কাজী নজরুল ইসলাম ও এডভোকেট কাউছার আলমের নেতৃত্বে এলাকাবাসী এ স্মারকলিপি প্রদান করে । এর আগে তারা প্রেসকৃলাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ উল্লেখিত ইউনিয়নগুলির কুল ঘেষে একটি সন্ত্রাসী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ পন্থায় ড্রেজার দিয়ে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ফলে তিনটি ইউনিয়ন বিশেষ করে চরমধুয়া ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন চলতে থাকলে অচিরেই এই তিনটি ইউনিয়ন রায়পুরা উপজেলার মানচিত্র থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিছুদিন আগে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এসময়, বালু সন্ত্রাসীরা রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের উপর হামলা করে।
এ বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু এরপরও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বালু দস্যুরা আরো বেপোরোয়া হয়ে যায়। তারা নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে। এলাকাবাসী এখন আতংকিত। ইতোমধ্যে অত্র ইউনিয়ন তিনটির কয়েক হাজার মানুষ বাস্তহারা হয়ে পড়ছে।
ইউনিয়ন তিনটির অস্তিত্ব রক্ষার্থে অবিলম্বে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ পূর্বক অবৈধ বালু উত্তোলন জরুরী বন্ধ করতে হবে। বালু দস্যুদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বালু মহলের টেন্ডার বাতিল সহ নতুন করে টেন্ডার প্রদান বন্ধ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এছাড়া,নদী ভাঙ্গন রোধে নতুন প্রকল্প গ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের ব্যব ব্যবস্থা করা।