স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে বিএনপি আয়োজিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের ইফতার মাহফিলের নির্ধারিত স্থান তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে দলীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগের তীর পুলিশের দিকে ছুড়লেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে নরসিংদীর পাঁচদোনায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে লালমিয়া কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তালা ভেঙ্গে দিলে ইফতার মাহফিলে যোগ দেন সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান। অনেকটা হঝবরল অবস্থায় পাঁচদোনায় বিএনপির ইফতার আয়োজন সম্পন্ন হয়।
ইফতার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে মঞ্চে উঠা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হতে দেখা গেছে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ফুটেজ নিতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায় ,নরসিংদীর পাঁচদোনায় লালমিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপি। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মী সহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মঈন খান সেখানে গেলে কমিউনিটি সেন্টারটি তালা বদ্ধ দেখতে পান। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ইফতার মাহফিল পন্ড করতে পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারটিতে তালা লাগিয়ে দেন।
পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইউসুফ আহাম্মেদ বলেন, বিএনপির ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার কোন প্রশ্ন আসে না। সেখানেতো পুলিশ যায়নি। তারা নিজেরাই তালা লাগিয়ে পুলিশের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামে বিশ্বাসী হতো, তাহলে এ দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার ধর্ম পালনে সুযোগ দিত। পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলের কমিউনিটি সেন্টারে তালা দিয়ে দিতো না।
তিনি আরো বলেন ,সংখ্যা ঘরিষ্টের দেশ বাংলাদেশে সরকার ধর্ম পালনে বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। আমরা অন্যের ধর্মে হস্থক্ষেপ করি না। অথচ সরকার ইসলাম ধর্মে হস্তক্ষেপ করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গনতন্ত্রের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতের জন্য। আমরা কি সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? স্বাধীন এই দেশে আমরা ইফতার করতে পারবো না, তা হতে পারে না।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি মো: এরফান আলী, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর সাত্তার, সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেন শা শানু প্রমুখ।
জাগো নরসিংদী/শহজু