হলধরদাস: তুচ্ছ এক ঘটনার জেরে রাকিব হোসেন (২১) নামে এক যুবক খুনের শিকার হয়েছে। জনৈক সাইফুল ইসলাম ছুরিকাঘাত করে রাকিব হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়ে আরও দু'জন। গত সোমবার রাতে মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাকিবের ছোট বোন ও সাইফুলের খালাতো বোন পাশের একটি মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করে।
জানা গেছে, রোববার(৫ জুন) বিকেলে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে তারা দুষ্টুমি করে একে অপরের গায়ে চুলকানি পাতা (চুৎরাপাতা) লাগিয়ে দেয়। পরে সাইফুল এ ঘটনা তার মা ও খালাকে জানায় এবং তারা রাকিবদের বাড়িতে যায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে সোমবার রাত ১০টায় সাইফুল পুনরায় তার মা ও খালাকে নিয়ে রাকিবদের দোকানে আসে।
এ সময় তারা দোকানে বসে থাকা রাকিবের বাবা সিরাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। হৈ-চৈ শুনে রাকিব ও তার চাচাতো বোন পাপিয়াও সেখানে উপস্থিত হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাইফুল সিরাজ মিয়াকে মারতে গেলে রাকিব ও পাপিয়া বাধা দেয়।
পরে সাইফুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রাকিবের পিতাকে আঘাত করে। রাকিব তার পিতাকে বাঁচাতে গেলে সাইফুল ইসলাম ছুরি দিয়ে রাকিবের বুকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিব ও তার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করে। ঢাকা যাবার পথে রাকিব মারা যায়।
এ ঘটনার পর ওই দিনই রাতে রাকিবের মা রেজু খাঁ বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মঙ্গলবার (৭ জুন ) ভোরে সাইফুলের আশেপাশের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাইফুল, তার মা ও খালাকে পুলিশ গ্রেফতার করে ।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) জহিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের লাশ সুরতাল করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রাকিব প্রাণ কোম্পানীর একজন গাড়ী চালক ছিলো বলে জানা গেছে।