নাসিম আজাদ: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে কৃষকের লালিত স্বপ্ন। প্রবল বৃষ্টি ও জড়ো হাওয়ায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার চাষীদের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চরসিন্দুর, গজারিয়া ও জিনারদী ইউনিয়নের চাষীদের ফসলি জমি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের রামপুর, পিতাম্বরদী,সেকান্দরদী, ইছাখালী,সরকারচর,খাসহাওলা,জয়পুরা ও ঢালুয়ারচর। জিনারদী ইউনিয়নের চর্ণগরদী,মাঝেরচর ও পারুলিয়া। চরসিন্দুর ইউনিয়নের চর আলীনগর, পার আলীনগর, চর মধ্যনগর, চলনা, সুলতানপুর, দক্ষিণ দেওড়া ও মলিতাসহ বেশকিছু গ্রামের ফসলি জমির ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে রয়েছে, কলা,পেঁপে, বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির বাগান ও রুপা আমন। এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে কলা চাষীদের।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কলা ১২০ বিঘা, শাক-সবজি ৭৫ ও ৩৮ বিঘা রুপা আমনের ফসলি জমির ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৯৫ লাখ টাকা।
ঢালুয়ারচর গ্রামের কলা চাষী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দেরবিঘা জমিতে সাগর কলার চাষ করেছিলাম ঝড়ে আমার সবগুলো কলাগাছ মাঝখান থেকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারতাম। এখন আমি নিঃস্ব।
সরকাচর গ্রামের কলাচাষী ইব্রাহিম ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে থোর কেটে দিয়েছিলাম। কলাগুলো বিক্রির উপযোগী হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কেড়ে নিল আমাদের ঘাম জড়ানো শেষ সম্বল। সরকার যদি আমাদের দিকে তাকায়, আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবো।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদির এস এ সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে ফসলি জমির চাষীদের ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রনোদনা আসলে আগামী রবি ও বোরো মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।