হলধর দাস : বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটি সাবেক সদস্য ও রায়পুরা উপজেলা বিএনপির ২ (দুই) বারের নির্বাচিত সভাপতি সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জামাল আহাম্মেদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার(১৭ অক্টোবর-২০২৪) রাতে নরসিংদী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জামাল আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত বি.এন.পি রাজনীতি তথ্য মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে রাজনীতি করে আসছি।
২০০৮ সালে ফখরুদ্দিন মইন উদ্দিদের অধীনে ০৪ দলীয় জোট তথ্য বি.এন.পি খানের শীষ প্রতীক নিয়ে নরসিংদী- ০৫ রায়পুরা আসদের নির্বাচন করি এবং প্রায় ৮২,০০০ (বিরাপি হাজার) ভোট পায় যাহ্য ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে আমি নির্বাচনে পরাজয় বরন করি।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা-সিলেট লং মার্চ সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে বলীষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছি।
আওয়ামী সরকারের হায়েনা বাহিনী আমাকে বেদম মারপিট করার কারনে আমার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ ০৪ (চার) মাস চিকিৎসাধীন ছিলাম।
চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে রায়পুরাতে আমার কিছু রাজনৈতিক শূণ্যতা ছিল। এছাড়া, হার্টের সমস্যায় ২০২৩ সালে আমার বাইপাস সাজারী করাতে হয়। আমার কিছু রাজনৈতিক শূণ্যতার কারনে আমার প্রতিপক্ষ আশরাফ উদ্দিন বকুল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হতে ধানের শীষে মনোনয়ন নিয়ে ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২০,৪৩১ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
২০২৩ইং সালের ০৮ ডিসেম্বর আমাকে ডিবিপুলিশ ও গুলশান থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে সারারাত নির্যাতন করে পরদিন ঢাকা কোর্টে চালান দেয়। দীর্ঘ ০২ (দুই) মাস ২১ দিন কারাভোগের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হইতে মুক্তি পাই, তারপরও বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে আরও ০২ (দুই) বার কারারুদ্ধ হই। কারাভোগকালীন অবস্থায় আমাকে কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর, গাজীপুর থেকে নরসিংদী, নরসিংদী থেকে আবার কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যায়, কারাগারে থাকাকালীন অবস্থায় আবারও হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি আমাকে ডান্ডাপেরি লাগিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করে মেজেতে ফেলে রাখে। প্রায় ১৫ দিন মেজেতে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার আমাকে হাসপাতালে একটি বেডের ব্যবস্থাও করেনাই। চিকিৎসা শেষে আবার আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, একদিন রাতের বেলায় আমার জমি বিক্রির আড়াই কোটি টাকাসহ আমার ঢাকা গুলশান বাড়িতে যাই। পরদিন আমার সন্তান পড়াশুনার জন্য ছেলে-মেয়ের কানাডা যাবে। পরদিন দিন রাতেই ডিবি হারুন সহ প্রায় ৫০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আমার বাসা ঘিরে ফেলে এবং আমাকে গ্রেফতার করে এবং ১১তম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে। আমি কোন অবস্থাতেই রাজি না হওয়ায় আমার চোখ ও হাত বেঁধে টাকা ও আমার পাসপোর্ট সহ আমার বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায়। ১০ দিন পর চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাকে বিমান বন্দর নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্স এর একটি টিকিট করে আমাকে সৌদি আরব পাঠিয়ে দেয় এবং বলে যে নির্বাচনের আগে আর বাংলাদেশে আসবি না।
আমি আপনাদের দোয়ায় যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে আছি এবং থাকব, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়াই করে যাব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন ও আমার পাশে থাকবেন, যতটুকু পারেন সহযোগীতা করবেন ।