নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে রাবেয়া আক্তার সাথী নামে এক গৃহবধূ। আর এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পলাশের চরসিন্দুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার সাথী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১ মার্চ ৫০ হাজার টাকা রেজিস্ট্রি কাবিনে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার খোজেখালী গ্রামের শফি উদ্দিনের ছেলে মীর ইলিয়াছ হোসেন সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয় নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর এলাকার রাবেয়া আক্তার সাথীর।
বিয়ের পর স্ত্রীর মর্যাদা ও ভরণপোষণ না দিয়ে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। শুধু তাই নয়, বিয়ের একমাস পর সোহেল রানার পরিবারের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এই বিষয়ে সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে সাথীর কাছ থেকে সরে যেতে নানা রকম তালবাহানা শুরু করেন সোহেল রানা।
এই ঘটনায় নরসিংদী আদালতে মামলা দায়ের করলে সোহেল বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের আশ্বাস ও ভরণপোষণের অঙ্গীকার করেন। এর একমাস যেতে না যেতেই পুনরায় যৌতুক দাবি ও নির্যাতন শুরু করলে আদালতে মামলাটি পুনরায় চলতে শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার সাথী আরো জানান, মামলা দায়ের করার পর থেকে বিভিন্ন লোক মারফত ও মোবাইলে নানা রকম হুমকি ধামকি ও মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে এখন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণসহ ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে সোহেল রানা।
এই অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে সাথীর মা মিনারা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।