নাসিম আজাদ: নরসিংদীর পলাশে বোনকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় ভাগিনার ছুরির আঘাতে তার মামা আতাউর রহমান (৩৮) নিহত হয়েছে। ভাগিনার ছুরির আঘাতে জখম হওয়ার সাতদিন পর রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আতাউর রহমান মৃত্যু বরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল বিকালে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের কবির শেখের ছেলে নিয়ন শেখ (২৪) নামের এক যুবক পারিবারিক কলহের জেরে তার মা শেফালি বেগমকে মারধর করে। খবর পেয়ে একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও শেফালি বেগমের আপন ছোট ভাই আতাউর রহমান তার বোন শেফালি বেগমকে মারধর করার প্রতিবাদ করেন। এসময় নিয়ন শেখ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার মামা আতাউর রহমানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে জখম হওয়া আতাউর রহমানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আতাউর রহমানকে চিকিৎসা করানো হয়। ওই প্রাইভেট হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে আতাউর রহমান মৃত্যু বরণ করেন।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ভাগিনার ছুরির আঘাতে মামা আতাউর রহমান জখম হওয়ার ঘটনাটি আগে কেউ থানায় জানায়নি। রবিবার রাত ১২ টার দিকে নিহত আতাউর রহমানের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে এখনো কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। পাশাপাশি ঘাতক নিয়ন শেখও পলাতক রয়েছে। ঘাতক নিয়ন শেখকে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহতসহ এ ঘটনায় আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।