স্টাফ রিপোর্টার: ছোট্ট শিশু মৌহিতুন আক্তার মুন, বয়স ১০ বছর। একদিন দেশসেরা নৃত্য শিল্পি হবেন এমটাই স্বপ্ন তার। স্বপ্নটা তার একার নয়। বাবা -মা আত্মীয়-স্বজন সকলেরই। ৬ বছর বয়স থেকেই নাচ শিখতে শুরু করে। তার নাচ শিখার হাতে খড়ি হয় নরসিংদীর বৈশাখী সঙ্গীত একাডেমীতে শিক্ষক হাসানের কাছে। বর্তমানে একই শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ঘাসফুল সংস্কৃতি শিশু কিশোর সংগঠন নরসিংদী শাখায় নাচ শিখছে।
শিবপুর উপজেলার আটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মৌহিতুন আক্তার মুন। পিতা মো. মিজানুর রহমান একজন চাকুরিজীবি। গ্রামের বাড়ী দিনাজপুরে হলেও চাকুরির সুবাদে বর্তমানে নরসিংদীর শিবপুরে বসবাস করছেন। মাতা লাইলী বেগম একজন গৃহিণী। তিন ভাই বোনের মধ্যে মুন সবার ছোট।
মুনের বাবা মায়ের স্বপ্ন সে বড় হয়ে দেশ সেরা নৃত্যশিল্পী হবে এবং দেশ-বিদেশে অনেক সুনাম কুড়াবে। তাইতো মাত্র ৬বছর বয়সে নাচ শিখা শুরু করে। অতিঅল্প সময়ে নাচের মুদ্রাগুলো আয়ত্ত করে নেয়। ফলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে নিজের স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়েছে মুন। সবে মাত্র ক্লাস ফোরে পড়েন। বয়সের তুলনায় অর্জনের জুলিটা অনেক বেশী। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন মুন।
সে ২০২০ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা শিবপুর উপজেলা থেকে (ক) বিভাগে লোকনৃত্য প্রথম স্থান অর্জন করে। লোক নৃত্যে নরসিংদী জেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ২০২১ সালে ই-জিনিয়াস ঢাকা বিভাগে (ক) গ্রুপ থেকে নৃত্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
২০২১ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন কেন্দ্রীয় চাঁদের হাট থেকে নাচে প্রথম সেরা নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় শিবপুর উপজেলা থেকে লোকনৃত্য ও সাধারণ নৃত্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। জেলা পর্যায়ে লোকনৃত্য ও সাধারন নৃত্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এছাড়াও ২০২১ সালে আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিবপুর উপজেলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। নরসিংদী জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে, ঢাকা বিভাগের গেছে।
বাবার মিজানুর রহমান ও মা লাইলী বেগমের স্বপ্নের মেয়ে একদিন দেশসেরা নৃত্য শিল্পি হবে। তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। মুন যেন বড় হয়ে বাবা-মার সেই স্বপ্ন সফল করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।