মকবুল হোসেন: মাধবদীর মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বথুয়াদী গ্রামে প্রতিবেশী দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর ২৪) সকালে বথুয়াদী গ্রামের আবদুল মতিন ও সাদেকের পরিবারের মধ্যে সীমানার বিরোধ নিয়ে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আবদুল মতিন ও সাদেক এর মধ্যে সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মতিন গংদের বিরুদ্ধে মামলা করে সাদেক।
সোমবার সকাল আটটার দিকে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বসলেও মিমাংসা হয়নি। পরে সমাজ প্রধানরা চলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ছাদেক মিয়ার স্ত্রী মোসলেমা বেগম ও আজিজুল প্রতিবেদককে জানান, মতিন ও তার লোকজন আজ সকালে আমাদের গালিগালাজ করে এবং আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করলে আমরা তা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদের বাড়িতে ভাংচুর করে আমাদের সাতজনকে আহত করে।তাদের লোকজন বেশি এবং তাদের ভয়ে মানুষ কথা বলার সাহস পায় না। তারা আইনের আওতায় মতিন গংদের বিচার দাবি করেন।
এবিষয়ে আবদুল মতিন প্রধান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ছাদেকেরা আমাদের সীমানার মধ্যে চলাচলের রাস্তার জায়গা দেওয়ার কথা কিন্তু তারা চলাচলের জায়গা দেয় না। এই নিয়েই সংঘর্ষ বাঁধে।
উভয় পক্ষই তাদের লোকজন সংঘর্ষে আহত হওয়া কথা জানান। সাদেক এর পক্ষে আজিজুল জানান- আমাদের সাত জন আহত হয়েছে এবং তার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ১.আলামিন ২.নাজিমুদ্দিন ৩.সাদেক ও জামানের স্ত্রী। বাকী তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মতিনের পক্ষে দুলাল মিয়া জানান,তাদের ও দুইজন গুরুতর আহত হয়ে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বিষয়টি জানতে নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মোহাম্মদ মাহমুদুল কবির বাসার বলেন -বথুয়াদী থেকে আহত সাতজন নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এর মধ্যে চারজন গুরুতর আহত চারজন কে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং বাকী তিনজন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।