হলধর দাস : ১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া গ্রামের ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। সেই ১৪ জন শহীদের স্মরণে মঙ্গলবার ঘোড়াদিয়া গ্রামে শহীদ মুরারী মোহন সাহার বাড়ী প্রাঙ্গণে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ মুরারী মোহন সাহার পুত্র সুপদ সাহার আয়োজনে স্মরণ সভায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিক্ষক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান ভূঁঁইয়ার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বীর শহীদদের প্রতি সম্মান ও তাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য গেরিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার মো: হাবিবুর রহমান, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নরসিংদী জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি নিবারণ রায়, শিক্ষক নেতা ও সামাজিক আন্দোলনের জেলার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক হলধর দাস, অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন, শিক্ষক নেতা সুভাষ দত্ত, এড. মোবারক হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, ন্যাপ নেতা কালিপদ দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন পাঠান, সমাজ সেবক সুভাষ সাহা, ঘোড়াদিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান হেমায়েত উদ্দিন, জেলা পূজাউদযাপন পরিষদের সভাপতি অনীল ঘোষ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ন চক্রবর্তীর স্ত্রী অভয়া চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম আসাদ ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর পুলিন বিহারী সাহা, শিক্ষক রমজান আলী সরকার, সামসুল হুদা আনসারী, পল্লী চিকিৎসক নারায়নচন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারায়ণ মেম্বার।
নিহত ১৪ জন হলেন; শহীদ মুরারী মোহন সাহা, মাস্টার হরলাল সাহা, দেবেন্দ্র চন্দ্র সাহা, সুরেন্দ্র চন্দ্র রায়, সুরেন্দ্র চক্রবর্তী, মনমোহন সাহা, সম্ভুনাথ সাহা, ভোলানাথ সাহা, রাধাগোবিন্দ সাহা, লালমোহন সাহা, রাজেন্দ্র চন্দ্র সাহা, নারায়ন চক্রবর্তী ও অজ্ঞাত একজন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৬ থেকে ২১ জুন ৬ দিনে ১৪ জন গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর প্রধান মতি শিকদারের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী।