স্টাফ রিপোর্ট: নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব এলাকার বাগহাটা মৌজায় জনৈক হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জাল দলিল সৃজন করে দালাল চক্রের সহযোগিতায় অন্যের ১দশমিক ৭৩ শতাংশ জমি নামজারী ও জমাভাগের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক আব্দুর রশিদ জানান, বাগহাটা মৌজায় ১০৮৩৪ নং খতিয়ানে এস,এ ৭৬২ নং (আর,এস ১৩৭৫ নং খামা)এস,এ ৮৩৮ নং(আর,এস১১৭৮নং খামা) ও এস,এ ৮৩৮ নং(আর,এস ১১৭৬ পুকুর) মোট ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছি। আমার বাবা ১৯৪৯ সাবকবলা দলিল মূলে এই সকল জমির মালিক হন এবং ভোগদখল করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে আমার বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে আমি এই জমির মালিক এবং ভোগদখলে আছি। আমার অজান্তে এই জমি অবৈধ নামজারী ও জমাভাগের মাধ্যমে দখলের অপচেষ্টা করছেন রায়পুরা উপজেলার বাঘাইকান্দি গ্রামের প্রয়াত
আঃ বাছেদ মিয়ার পুত্র মোঃ হানিফ মিয়া।
শিলমান্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ধর এর মাধ্যমে নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম যাচাই-বাছাই না করেই হানিফ মিয়ার নামে মোকদ্দমা নং-১০৩১৫/২১-২২ তারিখঃ ১৭/৭/২০২২ ইং এর আদেশ মোতাবেক জোত খোলেন। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এই অবৈধ নামজারী ও জমাভাগ কেইস নং-১০৩১৫ /২১-২২ বাতিলের আবেদন করেছি।
আব্দুর রশিদ আরও জানান, মোঃ হানিফ মিয়া ১৯৭২ সালের ২৯ জুন তারিখ উল্লেখ করে একটি জাল দলিল সৃজন করে যা সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে ভলিউম চেক করে করে কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে, শিলমান্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ধর এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'দলিল দেখেই খারিজ করা হয়েছে।'