![website logo](https://www.jagonarsingdi24.com/webimages/logo.png)
স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় কাজী শাহিন (১৭) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে বিরিয়ানি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) আফসান আল আলম।
এরআগে বুধবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগীকে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা গ্রাম থেকে অপহরণ করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অপহৃত প্রতিবন্ধী কাজী শাহিন বটিয়ারা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন-একই এলাকার বটিয়ারা গ্রামের মো হারিছ মিয়ার ছেলে আবির ওরফে আপন (১৭), জিরাহি গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে আরিয়ান হাসান নিলয় (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে তরুণরা বিরিয়ানি খেয়ে সন্ধ্যার পর শাহিনকে সুকৌশলে অপহরণ করে। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় অপহরণকারী চক্রটি ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই রফিক মিয়ার মোবাইল ফোনে অপহরণের ছবি পাঠিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহৃতের বাবা প্রথমে তাদের ২০ হাজার টাকা পরে ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। এরই মাঝে পরিবারটি রায়পুরা থানা পুলিশকে অবগত করে। পরে অপহরণকারীরা রাতে রাজাবাড়িয়া এলাকায় টাকা নিয়ে আসার কথা বলেন। স্বজনরা টাকা নিয়ে গেলে ওৎপেতে থাকা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের জিরাহি এলাকা থেকে রাত পৌনে ২ টায় তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাধে জিরাহি গ্রামের নির্জন এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে পুলিশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী কামাল হোসেন বলেন, টাকার জন্য এমন একটি প্রতিবন্ধী ছেলেকে অপহরণ বিশ্বাসের অযোগ্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা আর যাতে সমাজে না ঘটে।
ভুক্তভোগীর বাবা আমির হোসেন বলেন, বিকেলে বাড়ির পাশে বিরিয়ানি খেয়ে সন্ধ্যার পর থেকে খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। রাতে অপহরণকারীরা ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা তাকে উদ্ধার গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। এমন ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
ভুক্তভোগী কাজী শাহীন বলেন, একজনের সাথে আমার পরিচয় ছিল। সে আমাকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে বেঁধে রাখে। তাদের সাথে কোনো শত্রুতা নেই, কি কারণে তারা করেছে তা জানি না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) আফসান আল আলম বলেন, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় আমিসহ পরিদর্শক তদন্ত মীর মাহবুবসহ পুলিশের একটি দল রাতেই অভিযান পরিচালনা করে প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার এবং দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারদের পুলিশী পাহারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।