নিজস্বপ্রতিনিধি, তাহিরপুর: বিদেশি মদ বিয়ারের চালানসহ কবির মিয়া নামে পেশাদার এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়ের পূর্বে আলামতসহ তাকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক কবির সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী তীরবর্তী বিন্নাকুলি বাজার সংলগ্ন করিমপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া সেল জানায়,র্যাব-৯ সিলেট,সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ কোম্পনী অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ ও এএসপি মো. ইকরামুল আহাদের যৌথ নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস টিম সোমবার রাতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়।
র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জাদুকাটা নদী তীরবর্তী বিন্নাকুলি বাজার সংলগ্ন করিমপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের বসত বাড়িতে মাদক উদ্ধারে তল্লাশী চলানো হয়।
এরপর বসতঘরের উওরের শয়ন কক্ষে ফলের ক্যারেটে বিশেষ কৌশলে রাখা বিভিন্ন ব্রান্ডের ১০২ বোতল বিদেশি মদ বিয়ার জব্দ করা হয়।
একই সময় মাদক চোরাচালানে কারবারে জড়িত থাকায় আব্দুল মান্নানের ছেলে কবির মিয়াকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-৯ সিলেট,সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ কোম্পনী অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ বলেন,তাহিরপুরে সীমান্তঘেঁষা লাউরগড়,ছড়ারপাড়,রাজারগাঁও,বিন্নাকুলি,করিমপুর,মোদেরগাঁও সহ একাধিক গ্রামে মূলত মৌসুমী শাক সবজি ও ফল উৎপাদনশীল এলাকা।
এসব এলাকা থেকে বছর জুড়ে জাদুকাটার নৌপথে এমনকি সড়ক পথে বালু পাথর পরিবহনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন হাটে সবজি,ফলমুল সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
র্যাবের ধারণা, ফলের মৌসুমকে কৌশল হিসাবে ব্যবহার করে ফল বিক্রেতা সেজে ফলের ক্যারেটে করে দ্বীর্ঘ দিন ধরেই কবির স্থানীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদেশি মদ বিয়ারের চালান মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ করে যাচ্ছিলেন অনেকটা নির্বঘ্নে।