শরীফ ইকবাল রাসেল: অভিবাসী প্রেরণে সারাদেশে নরসিংদী অষ্টম স্থানে রয়েছে। এর আগে ছিলো সপ্তম স্থানে। নরসিংদী থেকে কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন কাজে বসবাসের জন্য ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লোক গেছে প্রায় ৩ লাখেরও বেশি। যেহেতু ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে হিসেব রাথতে পেরেছেন। সেই হিসেবে।
এর আগে ব্র্যাকের হিসেবে প্রায় সারে চার লাখ। নরসিংদীতে সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা রয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারের মতো। এই জনসংখ্যা থেকে প্রায় সারে ৪ লাখ লোক বিদেশে যাওয়া কম কথা নয়। এমন তথ্য জানিয়েছেন কর্মসংস্থান ও জনশক্তি নরসিংদী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সংযুক্ত) মো: এনামুল হক।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রয়েল ডেনিশ এ্যাম্বাসীর সহায়তায় ব্র্যাকের উদ্যোগে বিদেশ ফেরত কর্মীদের সামাজিকভাবে পুর্ণবাসনের বিষয়ে এক এডভোকেসী সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই সি টি) আব্দুল্লাহ আল জাকী। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নাবিলা নুজাত, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা: সঞ্জয় কুমার সাহা, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো: হোসেন খান, নরসিংদী কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম নাহিদ, ব্র্যাক নরসিংদী জেলা সমন্বয়কারী মো: মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন বিদেশ ফেরতকর্মী।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের বড় একটি অংশ দ্রুত ও সহজে বিদেশ যাওয়ার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি জমান। তাদের অনেকেরই নেই কাজের দক্ষতা ও ভাষা জ্ঞ্যান। যারফলে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। এসব কারনে উপযুক্ত মজুরী থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। আবার কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
দেশে এসে কোন কর্মসংস্থান না পেয়ে ও পাওনাদারদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে অনেকে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। আর তাদেরকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের কাজ এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে করার ফলে এই খাতটি আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিদেশ যাওয়ার প্রবনতা নরসিংদী সপ্তম স্থান থেকে অষ্টমস্থানে পৌঁছে যাওয়া খুব ভালো লক্ষণ নয়। তাই প্রতারণা ও ভোগান্তি ঠেকাতে আরো কঠোরভাবে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়। সবশেষে এক বিদেশ ফেরত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এক নারীকে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।