পলাশ প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ১০দিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক হাবিজ ওরফে হাবি মিয়া (৫৭) নামে এক বৃদ্ধ দিনমজুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ জুলাই) রাতে বৃদ্ধ ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পলাশ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হাবিজ ওরফে হাবি মিয়া ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পাইকসা গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
পুলিশ ও ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাড়ারিয়া পাড়ার আলুরটেক মহল্লায় বাবা ও ভাইয়ের সাথে বসবাস করেন ওই কিশোরী। দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তান কারণে স্কুলের গন্ডি মাড়ায়নি ওই কিশোরী।
গত ২৭ জুন বিকেলে তাদের বাড়ির পাশের একটি পাহাড়ি টেকে ওই কিশোরীকে একা পেয়ে বৃদ্ধ হাবি মিয়া তার বাবাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরী বাবা ও ভাই বাড়ীতে না থাকায় পরের সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে পুনরায় ধর্ষণ করে। (ভাইয়ের বিয়ের জন্য কিশোরীর বাবা ও ভাই চারদিনের জন্য সিলেট যায়)। পরে মেয়েটি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এর কয়েকদিন পর কিশোরীর ভাইয়ের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ঘরের বিছানার নিচ থেকে ধর্ষনে ব্যবহৃত আলামত কনডম পায়।
এবিষয়ে কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তার ভাবীর কাছে ধর্ষনের বিষয় খুলে বলে। কিশোরী জানা বৃদ্ধ হবি মিয়া তার বাবাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে পরপর দুই ধর্ষন করে। আর ওই কনডম ধর্ষনেরই আলামত যা সে লুকিয়ে রাখে।লোকলজ্জার ভয়ে অপরদিকে ঈদ উদযাপন তাই ধর্ষনের ঘটনার এতোদিন অতিবাহিত হলেও থানা মামলা করা হয়নি।
পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলরের পরামর্শে অবশেষে ১০ দিন পর শনিবার রাতে হাবি মিয়াকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা জামান মিয়া পলাশ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষক হবি মিয়াকে গ্রেফতার করে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ভুক্তভোগীর বাবা
ধর্ষণের অভিযোগ জানালে রাত ৮টার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাবি মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাশ থানায় গ্রেফতারকৃত হাবি মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।