
স্টাফ রিপোর্টার: বহু বছরের স্বপ্ন, সীমাহীন অপেক্ষা, নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম আর ধৈর্যের প্রতিফলন আজ বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে।
নরসিংদীবাসীর বহু প্রতীক্ষিত নরসিংদী কমিউটার ট্রেন আজ গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ভৈরব বাজার জংশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। এ যেন এক নতুন ভোর, এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
একজন রেল ফ্যান হয়ে নরসিংদী কমিউটার বাস্তবায়ন এবং নরসিংদীর রেলসেবার মানোন্নয়নের জন্য বরাবরই মনেপ্রাণে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন একজন। এমনই এক অক্লান্ত সৈনিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আমজাদ জুয়েল—যিনি নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে, নিজের অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে, নরসিংদীর মানুষের জন্য রেলসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
২০১৫-২০২৫ সময়কালে নরসিংদী কমিউটার বাস্তবায়নের পেছনে অনেক সংগ্রামী মানুষের অবদান রয়েছে, আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন আমজাদ জুয়েল। তিনিই সর্বপ্রথম নরসিংদী কমিউটার চালুর দাবীতে অনলাইনে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।
তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নরসিংদী রেল যাত্রী অধিকার ফোরাম, রেলসেবার অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম। ফোরামের সদস্যরা প্রায় এক দশক ধরে নরসিংদী কমিউটারের প্রয়োজনীয়তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
এছাড়া নরসিংদীতে নন স্টপ ব্যতীত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন বরাদ্দের জন্য দাবীতে 'রেল যাত্রী অধিকার ফোরাম' দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া মহোদয়কে নরসিংদী স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজের দাবীতে উক্ত ফোরামের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সচিব মহোদয় তাদের কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আশা করা হচ্ছে নরসিংদীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী খুব শীঘ্রই পূরণ হবে।
এ ছাড়াও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর কাছে নরসিংদী রেল যাত্রী অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে নরসিংদী স্টেশনে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি-গোধূলি (৭০৪-৭০৩), পারাবত ( ৭০৯-৭১০), তূর্ণা (৭৪১-৭৪২) ও উপবন (৭৪০) ট্রেন সমূহের যাত্রাবিরতি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন বরাদ্দের দাবীতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। নরসিংদী দেশের অন্যতম শিল্পনগরী হওয়া সত্ত্বেও এখানে চট্রগ্রাম ও সিলেটগামী অধিকাংশ আন্তঃনগরের স্টপেজ নাই। ফলে নরসিংদীর দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মহোদয় খুবই আন্তরিকতার সাথে বঞ্চনার কথা শোনেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। আশা করা যায়, শীঘ্রই নরসিংদীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী বাস্তবায়ন হবে। এখানেও আমজাদ জুয়েলের ভূমিকা থাকবে অপরিসীম--এ প্রত্যাশা নরসিংদীবাসীর।