আবুল কাশেম: নরসিংদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইমান হাসানের বাড়ীতে ককটেল, বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম মজুত থাকার দায়ে ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের কাজীরকান্দী গ্রামের ওই নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ককটেল ও বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত মো. ইমান হাসান আলোকবালীর কাজীরকান্দী গ্রামের মৃত সাঈদ মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আলোকবালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
পুলিশ জানায়, নরসিংদী চরাঞ্চল আলোকবালীতে কয়েক দিন পরপরই বিবাদমান দুটি গ্রুপ টেঁটা-বল্লমের মতো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি দেশীয় অস্ত্রের সাথে যুক্ত হয়েছে ককটেল বিস্ফোরণ। দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য প্রায়ই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, কাজীরকান্দী গ্রামের ইমান হাসান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বেশ কিছু ককটেল ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৩টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়নের কাজিরকান্দি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক ইউসুফ আলী খানের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশ অবিস্ফোরিত ৩টি ককটেল ও বোমা বানানোর বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে ইমান হাসানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী থেকে ককটেলসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের বিষযটিকে সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আসাদ উল্লাহ বলেন, আওয়ামীলীগের পদ বঞ্চিত দিপু বাহিনীর সদস্য শফিক কাজি, জুয়েল, শফিকুল তারাই ঈমান হাসান মেম্বারের পরিত্যক্ত ঘরে আগে থেকেই এসব রেখে দিয়ে পুলিশকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ককটেল ও বোমা বানানোর সরঞ্জামসহ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারে ঘটনায় মামলা রুজু করা হবে।