মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজু: রাত পোহালেই নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বুধবার (২৯ মে) শিবপুর উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন নিয়ে শিবপুর উপজেলা পরিষদ গঠিত। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৬ হাজার ৮২৬ টি মহিলা ভোটা এক লাখ ৩১ হাজার ৬৩৫টি। নির্বাচনে উপজেলার ৯৭টি ভোটকেন্দ্রের মোট ৬১৫ টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় তিনটি পদে ভোটে লড়ছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যন পদে ভোটে লড়ছেন দোয়াত কলম প্রতীকে প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা। কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতায় আছে নরসিংদী-২ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্যে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সহধর্মীনি উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী ইসলাম। মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোটে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ কে ফজলুল হক।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আ. কাদির মিয়া মিস্টার, মো. লিমন ভূঁইয়া, মো, নজরুল ইসলাম ভূঞা, মো, আবদুল অহাব ভূঞা, মো. রফিকুল ইসলাম (মিন্টু), মো. কাজল খান ও মো. ইফতেখার উদ্দিন খান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটে লড়ছেন ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, নাছিমা সুলতানা, মনি, মোসা. মাহমুদা আক্তার (হেলেনা) ও মোসা. ছালমা বেগম।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় বুধবার (২৯ মে) ভোটগ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স প্রেরণ করা হয়েছে। সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. সজীব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে উপজেলার একটি পৌরসভা এক এবং আটটি ইউনিয়নে প্রতিটিতে একজন করে মোট ৯ ম্যাজিষ্ট্র্যাট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট দায়িত্ব পালন পালন করবে। এছাড়া ৫ প্লাটুন বিজেবি ও এক প্লাটুন র্যা ব, ৪টি স্ট্রাইকিং টিম সেই সাথে পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম টহলরত অবস্থায় থাকবে।