মাসুদুল হক ভুঁইয়া: কিশোরী ভাতিজীকে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় চাচাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে।
গত ১৮ জুন মৃত মনজুর আলীর ছেলে মুর্শিদ মিয়া (৩০) বিকালে মধ্যপাড়ার নজরুল মিয়ার দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার বাবুল মিয়া(৫২) পিতামৃত খালেক মিয়া, সানি মিয়া (২০) পিতা লেকত মিয়া,রিপন মিয়া (২৮) পিতা মতি মিয়া, সোহাগ মিয়া (২২) পিতা জামাল মিয়া ও নয়ন মিয়া (২৪) পিতা আরিজ মিয়া সহ ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি বল্লম, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে মুর্শিদের উপর হামলা চালিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করে এসময় তার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে পরবর্তীতে পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী মারাত্মক আহত অবস্থায় মুর্শিদ মিয়াকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত মুর্শিদ মিয়া জানায় বিগত প্রায় এক মাস আগে এইসব বখাটে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসায় পড়ুয়া আমার ভাতিজীকে রাস্তায় ইভটিজিং করে, আমি তাদেরকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলেছিলাম এসব না করার জন্য, তারা আমার ভাতিজীর পিছু নিয়ে আমার বাড়ী পর্যন্ত চলে আসে, এসবের প্রতিবাদ করায় গত ১৮ জুন সুযোগ বুঝে এইসব সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে তারা আমাকে পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুর্শিদ আরো জানায় তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে এখন আমি ও আমার পরিবার আতংকিত। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বড় ভাই জহির মিয়া বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেছে, এখনও আসামীরা ধরা না পড়ায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আবারো তারা আমাদের উপর হামলা করতে পারে। আমরা আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।