স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নরসিংদী মডেল থানার এসআই জয় বণিক (৩১),আলিপুর গ্রামের আবুল মিয়ার স্ত্রী জামিনা বেগম (৭০), কামাল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫), রওশন আলীর ছেলে ফরহাদ (৩০), কামাল মিয়ার ছেলে দাউদ মনা (৪০) , খলিল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৪০) ও ফরহাদ (৩৫)। এরা সবাই শাহজাহান মনার সমর্থক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল কোম্পানি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মনার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো। আজকে (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইসমাইল কোম্পানির লোকজন শাহজাহান মনার লোকজনের উপর অস্ত্র, টেটাঁ ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেঁ যায়। সংঘর্ষে গুলি ও টেটাঁবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে শাহজাহান মনার সমর্থক দাউদ মনা, সাইফুল ইসলাম, ফারুক মিয়া ও স্থানীয় দোকানি জামিনা বেগম গুলিবিদ্ধ আর ফারুক মিয়া, ফরহাদ টেটাঁবিদ্ধ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে গিয়ে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয় বণিক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও মাধবদীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নজরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা একাধিকবার সমাধানের চেষ্ঠা করেছি। তারপরও তারা বার বার সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। আজকেও তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছে। আমরা এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে কাজ করছি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল বাশার কমল বলেন, পুলিশের একজন এএসআইসহ গুলিতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের আহত এসআই জয় বণিক বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় একটি গুলি এসে আমার হাতে লাগে। পরে আমি সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছি।
এব্যাপারে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ঘটনার বিস্তারিত এখনো বলতে পারছি না। আমরা স্পটে যাচ্ছি। তদন্ত শেষে সব কিছু বলতে পারবো।