স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণাধীন বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙচুরসহ জায়গার মালিককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে কতিপয় সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৩ জুন) শহরতলীর ঘোড়াদিয়া এলাকা মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসাইন এক ব্যক্তি নরসিংদী সদর মডেল থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, নরসিংদী থানাধীন পুরানপাড়া মৌজায় সাড়ে ১৫ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক হন তিনি। ক্রয়কৃত জমির সীমানা প্রাচীর দেয়ার স্বার্থে নির্মাণ সামগ্রী আনলে ঘোড়াদিয়া এলাকার মোমেনের ছেলে ইউসুফ (৩৪) গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকার আবুল হোসেন ড্রাইভারেথ ছেলে বাবু টুইটার বাবু (৩০) এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাদের কথা না বলে কোন কাজ করা যাবেনাসহ বিভিন্ন রকমের হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে। এক পর্যায়ে তারা মোটা অংকের টাকা দাবীসহ নানা হয়রানি করে আসছেন। এব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্বরনাপন্ন হলেও কারো কথাই কর্ণপাত করেনি ইউসুফ ও বাবু। পরবর্তী রবিবার (২৩ জুন) রাজমিস্ত্রী ও লেবার নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি তার ক্রয়কৃত জায়গার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ শুরু করার খবরে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে সন্ত্রাসী ইউসুফ ও বাবু তাদের অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সহযোগীকে সাথে নিয়ে নির্মাণ কাজের বাধা প্রদান করেন এবং রাজমিস্ত্রীসহ লেবারদের বিভিন্ন গালমন্দ করে এক পর্যায়ে তাদেরকে মারতে উদ্যত হয়। পরে সীমানা প্রাচীরের এক অংশ ভাঙচুর করে তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলে চলে যায়। ভুক্তভোগী ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন। ঠিক এক ঘণ্টা পর সন্ত্রাসীরা পুনরায় ওই জায়গায় যায় এবং রাজমিস্ত্রি ও লেবারদেরকে কাজ করা থেকে পুনরায় বিরত থাকতে বলে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করে চাহিদা মোতাবেক টাকা দিয়া বিষয়টি সমাধানপূর্বক কাজ শুরুতে হুমকি ধমকি প্রদান করে চলে আসে। এর কিছু সময় পর বেলা ১১টা ২২মিনিটে সন্ত্রাসী ইউসুফ তার ০১৩০৯৭৭৭০৮৮ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগীর ০১৭৭০৪০২০৪০ এই নাম্বারের মোবাইলে ফোন করে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাই তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউসুফের সাথে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোন চাঁদা দাবি না করেননি বলে জানান। সেই সাথে বিষয়টি জানলেন তা এই প্রতিবেদকের কাছে থেকে জানতে চান। পাশাপাশি প্রতিবেদককে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সঙ্গীতা এলাকায় যাওয়ার কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরেই পুনরায় প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে বিভিন্নভাবে চেহারা করতে থাকে অভিযুক্ত ইউসুফ।
অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদের জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অবগত নন বলে জানান। বিষয়টি জেনে পরে জানাবেন বলে জানান।