স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুরানদিয়া এলাকায় বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নরসিংদীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৫২০/২০২৩
আহত মহিলার নাম সখিনা বেগম স্বামী : মোঃ বিল্লাল মিয়া, সাং পুরানদিয়া, শিবপুর নরসিংদী। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন পুরানদিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে, স্থানীয় তেলিয়া ঝাউয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ রুবেল মিয়া (২৮), আব্দুর রহমান মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)।
এ ঘটনায় এলাকায় কোন সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে তারা আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদিগণ খুবই প্রভাবশালী। আর বাদিনী খুবই দুর্বল প্রকৃতির লোকবলহীন। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আসামিরা গত ৫ই মে সকালে বাদিনীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার বৃদ্ধ শশুরকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে সখিনা বেগমের উপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিবাদীদের হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সখিনার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলেন।শুধু তাই নয় তাদের হামলায় সখিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখমের সৃষ্টি হয়।
এ সময় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে ফেলে।
এ সময় বাদিনীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে বিবাদীরা পালিয়ে যান। পরে সখিনা বেগমকে চিকিৎসার জন্য নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বিবাদী রুবেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, 'এই মামলা ষড়যন্ত্রমূল।' তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন।'