স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্বজনদের খোঁজখবর নেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এবং পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম পিপিএম।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নিহতের বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তাঁরা।
এসময় তাদের সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্নিবাণ চৌধুরী, (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার, আমিরগঞ্জ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
নিহত ও আহতের স্বজনরা জানান, আমরা নিলক্ষা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কোন মানুষ গত ৫০ বছরেও কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাধে জড়িত ছিলোনা। আমরা সব সময় ঝগড়া-বিবাধকে ঘৃনা করে আসছি। কিন্তু ককটেল ফাটাতে বাধা দেওয়ায় আমাদের উপর এ অত্যাচার করা হয়েছে।
হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে প্রকাশ্যে জুলহাস মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় তাদের এলাপাতাড়ি গুলিতে আহত হয়েছে আরো চারজন।
এসময় স্বজনরা গুলি করে হত্যা ও আহতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গত শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন সন্ধ্যায় ককটেল ফাটাতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দড়িগাঁও এলাকার কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বীরগাঁও পূর্ব পাড়া মহল্লার শামসু মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া। এসময় গুলিবিদ্ধ ও টেঁটাবিদ্ধে আহত হয় আরো ৪ জন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো। এলাকার শান্তি রক্ষায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জাগো নরসিংদী/শহজু