নিজস্ব প্রতিনিধি: কে এই মোহাম্মদ আলী আলী? তার খুটির জোর কোথায়? আটকের ৬ ঘন্টার মধ্যেই পেয়ে যায় জামিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব এলাকায় মটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ বিক্রি করেন এই মোহাম্মদ আলী। তার গ্রামের বাড়ি সাহেপ্রতাব। তার বাবার নাম আব্দুল হাই।
স্থানীয়রা জানায়, মাধবদী থানাধীন গদাইরচর এলাকার আব্দুল হাই এর ছেলে এই মোহাম্মদ আলী। লেখাপড়া খুব বেশী না জানার কারণে বিভিন্ন দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ নেয় সাহেপ্রতাব এলাকায় বিভিন্ন দোকানে।
কিছুদিন যাওয়ার পর একটি চক্র গড়ে তুলে মোহাম্মদ আলী। এভাবে দীর্ঘদিন যাওয়ার পর মটর যন্ত্রাংশের ছোট একটি দোকান শুরু করেন। এই দোকান দিয়েই এলাকায় একটি স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মধ্যস্থলে সাহেপ্রতাব এলাকায় তার দোকানটি থাকার কারনে নরসিংদীর কতিপয় পুলিশ তার দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করেন আবার কেউ কেউ নিয়মিত আড্ডা দিয়ে থাকেন।
আর এই সুযোগে দোকান মালিক মোহাম্মদ আলী আশপাশের ব্যবসায়ী ও বিভিন্নজনকে পুলিশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজের আধিপত্ত বিস্তার শুরু করেন। শুধু তাই নয়, রাতের বেলায় দোকানে বসে বিভিন্ন জনদের নিয়ে মাদক সেবনসহ নারী গঠিত অপকর্মের সাথেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক এই মোহাম্মদ আলী ও তার শ্যালক মামুনকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরনের নথি সূত্রে দেখা যায়, এই মোহাম্মদ আলী ও তার শ্যালক মো: মামুন মিয়া শুক্রবার সকালে থানা এলাকার নবাব বাড়ি মোড়ে বিভিন্নভাবে উশৃঙ্খল আচরণ ও চেচামেচি করার সময় নরসিংদী মডেল থানার এস আই শামীম হোসেন সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১৮৬১ সালের পুলিশি আইন ৩৪ ধারা মতে তাদের আটক করে।
আটকের পর থানা হাজতে তাদের জিঙ্গাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তায় সঠিক জবাব না পাওয়ায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জেল হাজতে পাঠানোর পর শুক্রবার থাকা সত্ত্বেও স্পেশাল আদালতের মাধ্যমে দুপুরে তাদের জামিন দেয়া হয়।
তাদের গ্রেফতারে স্থানীয়রা স্বস্তিবোধ করলেও তার জামিনে আবার আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বসবাসকারী জনসাধারণও। তার বিষয়ে আরও খোজ খবর নিয়ে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন শেষে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
জাগোনরসিংদী/রাসেল