স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া ইরানের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বাদ যোহর জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে এই নেতার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যা, আত্মীয়-স্বজনসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ইরান নরসিংদীর রাজনৈতিক অঙ্গণে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সব সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া ইরান রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি নরসিংদী কলেজ ছাত্রসংসদে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোটে ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার টানে মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল ( বিএনপি) গঠন করলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং নরসিংদী জেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নরসিংদীবাসী ভোটে তিনি নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন৷
মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ইরানের মৃত্যূতে নরসিংদীবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোমবার বাদ যোহর নরসিংদী সরকারি কলেজ মাঠে এই মহান নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়।
নরসিংদী কলেজ মাঠে জানাজায় অংশ নিতে এবং প্রিয় এই নেতাকে এক নজর দেখতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জমায়েত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ সদর আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী লে. কর্ণেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নরসিংদী কলেজ মাঠে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় গাবতলী কবরস্থানে মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ইরানকে দাফন করা হয়।
জাগোনরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম