স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে চলা বর্বরোচিত হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নরসিংদী জেলা পরিষদ সদস্য রাজিব আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩১ জানুযারি মঙ্গলবার রাতে আব্দুল হক সরকার ও ইসমাঈল হোসেন সিরাজী গ্রুপ উভয়ে একত্রিত হয়ে গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হেকিম, হযরত মেম্বার, মোফাজ্জল, শাজাহান মোঘল, নূরু মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
তিনি বলেন, এসময় তাদের ছোড়া এলোপাতারী গুলিতে হোসেন মিয়ার ছেলে রবিউল্লাহ, আলাউদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল, সাহেদের ছেলে রাসেদ এবং রিদনের ছেলে সুমন গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় রায়পুরা থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বীরগাঁও লাইসিয়াম স্কুলের পার্শ্ববর্তী স্থানে সিদ্দিকের ছেলে ইব্রাহিমের উপর হামলা চালিয়ে তার বা হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয় ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপটি। এ সময়ে আরো একজন গুরুতর আহত হয়। তারা বর্তমানে ঢামেকে চিৎিসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় মামলা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় আমার নিজ বাড়ির একটি তৃতীয়তলা বিল্ডিং ও আমার মায়ের একটি বিল্ডিং এর প্রতিটি রুমে হামলা চালিয়ে তছনছ করে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এতে করে আমার আড়াই কোটি টাকার মালামাল সহ পুরো দালানঘর দুটি পুড়িয়ে ফেলে।
এতোসব ঘটনার পরও বর্তমানে আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। এমতাবস্থায় আমিও আমার পুরো পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
জাগো নরসিংদী/শহজু