
স্টাফ রিপোর্টর: নরসিংদী জেলা মহাফেজ খানা ও তল্লাশকারক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলার দলিল লেখকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) নরসিংদীর মরজাল ওয়ান্ডার পার্কে শপথ অনুষ্ঠানে নরসিংদীসহ সারাদেশের দলিল লেখকদের অভিভাবক নুর আলম ভূঁইয়া সভাপতি হিসেবে যোগ দিলে এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি নরসিংদী জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের মহাফেজ খানা ও তল্লাশকারক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা রেজিষ্ট্রার নিয়ন্ত্রণাধীন এ সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক করা হয়েছিল নরসিংদীর সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলকে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর সাব রেজিষ্ট্রার এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। আর এই অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি ও জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুর আলম ভূঁইয়া।
জেলা রেজিষ্ট্রার নিয়ন্ত্রণাধীন মহাফেজখানা ও তল্লাশকারক সমিতির অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সভাপতিত্ব করার বিষয়টি একেবারেই বেমানান। আর জন্যই জেলার দলিল লেখকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
এর আগে শপথ অনুষ্ঠানের দাওয়াত পত্রে ও লিপলেটে সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুর আলম ভূঁইয়ার নাম ছাপা হলে জেলার দলিল লেখকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
জেলা দলিল লেখকদের মতে, দলিল লেখক সমিতি এবং মহাফেজখানা ও তলাশকারক সমিতি ভিন্ন দুটি সংগঠন। এই সংগঠন দুটির একটির সাথে অপরটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
যার একটি সারা বাংলাদেশের নেতৃত্বে আছে নুর আলম ভূইয়া। যেখানে তল্লাশ কারক সমিতির নামের শেষের দলিল লেখক শব্দটি জড়িত থাকার বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের আপত্তি রয়েছে সেখানে ওই সংগঠনের অভিভাবক শপথ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন সাধারণ দলিল লেখক।
তিনি ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিতে পারতেন। তবে সভাপতি হিসেবে নয়।