নিজস প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের পুরান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত ভিকচান খন্দকারের ছেলে আব্দুর রব খন্দকার ও তার ছেলে ইসহাক খন্দকার, আবদুল গনি ভূইয়ার ছেলে আ. রহিম ভূইয়া ও আ. রহমান ভূইয়া।
গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুর রব খন্দকার নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা জেলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
জানা যায়, পুরানদিয়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে আ. গনি ভূইয়ার সাথে একই এলাকার আব্দুর রব খন্দকারের সঙ্গে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
রবিবার রাতে ওই জমিতে আব্দুর রব খন্দকার মাটি ভরাট করে। পরদিন সোমবার সকালে সেই জমিতে কাজ করছিলো গনি ভূইয়া ও তার ছেলেরা।
খবর পেয়ে রব খন্দকার ও তার ছেলে ইসহাক খন্দকার তাদের বাধা দিলে দু'পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়।
আহত আব্দুর রব খন্দকার বলেন, 'আমার পৈত্রিক জমিতে গতকাল রাতে মাটি ভরাট করেছি। কিন্তু গনি ভূইয়া সকালে জোরপূর্বক দখল করে বেড়া দিতে যায়।'
নিতি বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে গনি ভূইয়া ও তার ছেলেরা আমাদের উপর হামলা করে। এঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
অপর দিকে গনি ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর আগে রব খন্দকারের পিতা ভিকচান খন্দকারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি। গত রোববার রাতের কোনো এক সময় জমি দখল নিতে কয়েক গাড়ি মাটি ফেলে ভরাট করে রব খন্দকার।
এ খবর পেয়ে সকালে সেই জমিতে বেড়া দেয়ার জন্য গেলে রব খন্দকার ও তার ছেলে ইসহাক খন্দকার আমাদের উপর হামলা করে।
এতে আমার দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিলে সেখানেও হামলা করতে আসে। পরে তাদের ভয়ে পূর্ণ চিকিৎসা না নিয়েই বাড়িতে চলে আসি। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গনি ভূঁইয়া এ বিষয়ে আরো বলেন, এই জমি নামজারি করার জন্য আবেদন দাখিল করেছি। পরে রব খন্দকার ও এই জমি তার নামে নামজারির জন্য আবেদন করেন। আমার কাগজপত্র বৈধ হলে আমার নামে খারিজ হবে। আমার কাগজপত্র অবৈধ হলে সে জমি নিয়ে যাবে আমার কোন সমস্যা নেই।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক আ. রাজ্জাক জানান, 'এঘটনায় আবদুল গনি ভূইয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'