হলধর দাস: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে ঘরমোখ মানুষের ঈদ যাত্রা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে নরসিংদী জেলা প্রশাসন বিরামহীন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যানজট ও দূর্ঘটনামুক্ত রাখা।
এজন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খানের নির্দেশে প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
মহাসড়কে যানজট কমাতে সড়কে পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন স্হাপনা অপসারণ এবং নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গাড়ি রেখে যাত্রী উঠানামা করালেই দেয়া হচ্ছে অর্থদণ্ড।
এ কর্মকান্ডের আওতায় গত দুইদিনে জেলার মাধবদী, পাঁচদোনা, ভেলানগর, ইটাখোলা এবং মরজাল সহ বিভিন্ন পয়েন্ট অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা পাঁচশতাধিক অস্হায়ী দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যারা এলোমেলাভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিভিন্ন পরিমাণে জরিমানা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার(২৭ জুন) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্হান করে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ ও সওজ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করেছেন।
এসময় জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ০৯ টি মামলা ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। ঈদযাত্রাকে সহজ করতে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঘরমুখী মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছার বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে সদর উপজেলাসহ অন্যান্য সকল উপজেলায় মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জোর তদারকি চলছে। ঈদের ছুটি চলাকালীন এবং ছুটি পরবর্তী সময়েও এ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে অব্যাহত রাখার নির্দেশনা রয়েছে৷
উল্লেখ্য, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে গত ১৮ জুন নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেছিলেন নরসিংদী'র সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান।
সভা়য় কোরবানীর আগে-পরে পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া, কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, জাল নোট সনাক্তকরণ এবং যানজট নিরসনসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
জাগোনরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম