লাইফস্টাইল ডেস্ক: হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়। এমন আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর আশপাশে প্রায়ই শোনা যায়। হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলা হয় মুভি হার্ট অ্যাটাক। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর সংকেত পাঠায়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে অস্বস্তি থাকে। বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়। কয়েক মিনিট ধরে ব্যথা থাকে। মাঝেমাঝে ব্যথা চলে যায় আবার ফিরে আসে।
একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। অনেক সময় পিঠ, ঘাড়, চোয়াল ও পাকস্থলীতেও অস্বস্তি হয়। বুকে অস্বস্তির সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে। ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ও বমি ভাব হতে পারে।
উপসর্গ বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়। মূলত হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপসহ নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে ভয় পাবেন না। দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দেবেন, যেন কাশির সঙ্গে কফ বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস—প্রতি দুই মিনিট পরপর করতে থাকুন। এতে করে আপনার হৃৎপিণ্ড কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। হাসপাতালে নেওয়ার আগে এটি রোগীকে সাপোর্ট দেবে অনেকখানি। কারণ, দীর্ঘশ্বাসের ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয় এবং ঘন ঘন কাশি দেওয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তাতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।
সোর্স: প্রথম আলো