হলধর দাস: নরসিংদী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষ্যে এক সচেতনতামূলক সভা নরসিংদী বড় বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন।
'পলিথিন শপিং ব্যাগ বর্জন করি, দেশকে পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে রক্ষা করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সভায় নদী দূষণমুক্ত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, নরসিংদী সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাওছার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়, নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু, চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তুহিন, জাকির হোসেন মাস্টার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, নদী মায়ের সমান। আপনারা এ নদীকে রক্ষা করুন। এ নদী রক্ষার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন। আপনরা সহযোগিতা করলে হাঁড়িধোয়া নদী দূষণমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। কারণ নদীর পানিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হওয়ায় এ নদীর প্রবাহিত পানি বিভিন্ন এলাকার জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রায় দুইশত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে নূরালাপুর এলাকায়। তাহলে আপনারাই আপনাদের ফসল নষ্ট করছেন।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন ভূঞা বলেন, নদী দখল রোধ করতে হবে। নরসিংদী শহরকে রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো গতকাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য “ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ” সভা হয়েছে। আশাকরি, নরসিংদী শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, হাঁড়িধোয়া নদী তীরে ৯টি ডাইং ফ্যাক্টরী রয়েছে। তারা রাতের আঁধারে অপরিশোধিত রাসায়নিক পদার্থ যেন নদীর পানিতে ফেলতে না পারে সেজন্য আইপি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা পেয়েছি। এই ক্যামেরা সংস্থাপনের ফলে দিনে রাতে সবসময় ঘরে বসেই আমরা দেখতে পারবো ফ্যাক্টরীর রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে ফেলছে কি না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা স্কাউট সম্পাদক ও নরসিংদী আইডিয়াল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনজিল এ মিল্লাত।
জাগোনরসিংদী/স্টাফ রিপোর্টার