স্টাফ রিপোর্টার।। নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ শিবপুর জোনাল অফিসের লোকজন রিকশা চালক জাহাঙ্গীর এর বৈদ্যুতিক মিটার এবং তার গত ২ মার্চ খুলে নিয়ে গেছে। তার অন্যায়, সে 'অবৈধভাবে' বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। জাহাঙ্গীর নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের পেতিপলাশী গ্রামের আমির চান এর ছেলে।
জাহাঙ্গীর জানান, সে শিবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মিত ও বৈধ গ্রাহক। তার হিসাব নং ৩৫৮/৩০২৫
জাহাঙ্গীর জানান, আবাসিক মিটারের সংযোগ পাওয়ার পর প্রায় ১ বছর ধরে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে। একসময় প্রয়োজনে তার বসতঘরটি সরিয়ে কিছুটা দূরে অর্থাৎ ১৪০ ফিট দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে বৈদ্যুতিক মিটার খুলে সে ঘরে নেয়ার জন্য স্থানীয় বন্যার বাজর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে। ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে সে ঘরে মিটার বসিয়ে দিয়ে যায় একজন।
কিছু দিন পর একজন আসে মিটার খুলে নিয়ে যেতে। জাহাঙ্গীর কারণ জানতে চাইলে সে লোক বলে, 'আপনার বৈদ্যুতিক লাইন অবৈধ। আপনার মিটার ১৩০ ফুটের বাইরে, ১৩০ ফুটের বাইরে কোনো সংযোগ দেয়ার নিয়ম নেই।'
এদিকে শিবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নওশের আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভুক্তভোগীকে বলেন, 'আপনি একটি আবেদন করেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।' জাহাঙ্গীর তখন একটি আবেদন করেন ৩৪৫ টাকা ফি জমা দিয়ে। রশিদ নং ৪৬১৫৩৩ তারিখ ০৮/০৮/২০২১ইং
আবেদন করার প্রায় ৫ মাস পর গত বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে জাহাঙ্গীরের মিটারটি খুলে নিয়ে গেছে।
জানা গেছে, উক্ত গ্রাম ছাড়া ও ১৩০ ফুটের বাইরে অনেক মিটার রয়েছে।
জানতে চাইলে ডিজিএম নওশের আলী বলেন, ১৩০ ফুটের বাইরে পরায় তার মিটার কাটা হয়েছে। তার (জাহাঙ্গীর) ছাড়া ও ১৩০ ফুটের বাইরে বেশ কিছু মিটার আছে, সে গুলো খুলেন না কেনো? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সে গুলোর বিষয়ে অভিযোগ পেলে খুলে নিয়ে আসবো।'
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে জাহাঙ্গীর তার অটোরিকশার ব্যাটারী চার্জ দিতে পারছেন না। ফলে রিক্সা চালানো বন্ধ। বর্তমান সে পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন বলে জানিয়েছেন।