নাসিম আজাদ: নরসিংদীর পলাশে মুখ বেঁধে ও কপালের এক পাশ থেতলে দিয়ে হত্যার পর রাস্তার পাশে কলাবাগানে ফেলে রাখা এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদী সদর থানাধীন করিমপুর বিলপাড় গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (২৫) ও নরসিংদী সদর থানাধীন কালাই গোবিন্দপুর এলাকার আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭)। তথ্যটি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পলাশ থানাধীন গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর ঈদগাঁ মাঠের দক্ষিণ পাশের গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে মো.ইসমাইল মিয়া (২৪) নামে এক অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে জানা যায়, নিহত ইসমাইল মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের মো. ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে । সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
এ ঘটনায় নিহত ইসমাইলের পিতা ইব্রাহীম মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আরিফ খান ও এসআই সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পলাশ থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানে নেমে দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালক ইসমাইল মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত খলিল মিয়া ও মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেন।
পাশাপাশি ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, 'গ্রেফতারকৃত খলিল ও মেহেদী হাসানসহ চার থেকে ৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভয়ংকর চক্র রয়েছে। তারা অটোরিকশা ছিনতাই করা সহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।'
ছিনতাই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
জাগো নরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম/সমক