মাধবদী প্রতিনিধি: নরসিংদী সদর থানার শেখেরচর ফুলতলায় জনৈক কাসেম মিয়া স্থানীয় তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কাসেমের দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন ৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টার দিকে কাসেম সাথে করে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার জাকারিয়ার ৫ লাখ টাকা নিয়ে ফুলতলা বাজারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়।
যাওয়ার পথে তিনি মোসলেমউদ্দীন মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌছলে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মহসিন মোল্লা, আলমগীর ও জাহাঙ্গীর কাসেমকে মারধর করে একটি বন্ধ কারখায় আটকিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং এবিষয়ে কাউকে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ব্যপারে জানতে ঘটনাস্থল ফুলতলার অদূরে মোসলেমউদ্দীন মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গেলে কথা হয় স্থানীয় দোকানদারদের সাথে।
এব্যপারে প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, এখানে ছিনতাইয়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি তবে কাসেম আলমগীরের ভাড়াটিয়ার সাথে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে ঝগড়া করে ।
এ নিয়ে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, ঘটনার দুই দিন পূর্বে কাসেমের সাথে আলমগীরের ভাড়াটিয়ার ঝগড়া হয়।
এরই জের ধরে কাসেমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। এখানে রাস্তার পাশের দোকান ও কারখানাগুলো খোলা থাকায় সবসময় লোক সমাগম থাকে। এধরনের ঘটনা এখানে ঘটলে জানা জানি হতো।
এব্যপারে আলমগীরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাসেম দুই দিন পূর্বে আমার বাড়ির ভাড়াটিয়াকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভাড়াটিয়া বিষয়টি আমাদের অবগত করলে ঘটনার দিন ফুলতলা বাজারে যাওয়ার পথে স্কুলের সামনে কাসেমকে পেয়ে তার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করলে তার সাথে আমাদের তর্ক বিতর্ক হয়।
জাহাঙ্গীর জানায়, কাসেমের বাড়ি আড়াই হাজার থানায়। সে এখানকার ভাড়াটিয়া। সে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকদের উপর প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তার দায়ের করা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলা আপোষের নামে সে আমাদের কাছ থেকে ফায়দা লুটার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এব্যপারে মহসিনের ঘনিষ্টজনরা জানায়, মহসিন গত ৩১ ডিসেম্বর ব্রেইন ষ্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাকে ভারতের মাদ্রাজে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। মাদ্রাজে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সম্পুর্ন সুস্থ্য হতে অনেক সময় লাগবে বলে তার চিকিৎসকগন জানিয়েছেন বলে সংবাদ কর্মীদের জানান তার পরিবারের লোকজন।
অপর দিকে অভিযোগেকারী কাসেম জানান, মহসিন তার বুকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মোসলেমউদ্দীন মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে গেলে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর তাকে মারধর করে তার নিকট থেকে টাকা ও চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়।
জাগো নরসিংদী/মকহ