স্টাফ রিপোর্টার: ছাগলাকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীর খোঁজ মিলেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন লায়লা কানিজ লাকী। পরে তিনি আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে এক প্রস্ততিমূলক সভায় যোগ দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান। এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে কার্যালয় অথবা বাড়ি বা তার পার্কে কোথাও দেখা যায়নি , কল করে পাওয়া যায়নি, এমনকি তিনি কোথায় ছিলেন, তা-ও কেউ বলতে পারেনি। ঈদের পর অফিস খোলা থাকলেও কোন ছুটি না নিলেও লায়লা কানিজ লাকি কার্যালয়ে যাননি। তিনি সর্বশেষ ঈদুল আযহার দুই দিন আগে অফিস করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান লাকী। পরে তিনি দুটি প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন। সভা শেষে লাকী নিজ কার্যালয়ে আ. লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
সভা চলাকালীন সময় ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সভা শেষে বের হলে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলেই গাড়িতে উঠে চলে যান।
স্থানীয়রা বলছেন, লায়লা কানিজের বাবা কফিল উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন একজন খাদ্য কর্মকর্তা। তার মেয়ে লায়লা কানিজ সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করলেও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে যায়। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন তার স্বামী আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অবৈধ উপার্জনে। শিক্ষকতার আয়ে বা পেনশনের টাকায় তার এত সম্পদ থাকার কথা নয়।
এদিকে চেয়ারম্যান অফিস না করার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর বুধবার পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ওই সময় অনেক ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদে এসে তাকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। এতে সেবাবঞ্চিত হয়েছেন তারা।
এব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।