হলধর দাস: 'মাটিঃ খাদ্যের সূচনা যেখানে' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নরসিংদীতে উদযাপন করা হয়েছে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২২’।
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল র্যালী, আলোচনা সভা ও কৃষকদের মধ্যে মৃত্তিকা রক্ষায় সচেতনতা উল্লেখযোগ্য। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এর পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ মাসুম এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালী জেলা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ মাসুম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুত্বে মৃত্তিকার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,নরসিংদী’র ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ড. মো: মাহবুবুর রহমান।
সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মৃত্তিকার স্বাস্থ্য রক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন নরসিংদীস্থ মৃতিতকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তাফা মিয়া, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভাপতির ভাষণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুম বলেন, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক কী আছে বা স্বাস্থ্য নষ্টে কারা দায়ী তার প্রতীকার আমাদেরকে যৌথভাবে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা যাবে না। আবার কম সারও ব্যবহার করা যাবে না।
সার ব্যবহার করতে হবে পরিমিতভাবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে আমাদের চাষযোগ্য জমি ছিল ২ কোটি ১৭ লাখ হেক্টর। খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি ১০ লক্ষ। বর্তমানে চাষযোগ্য জমি কমে ৮৮ লক্ষ ২৯ হাজার হেক্টর হয়েছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়ে ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টনে পৌছেছে। এখানে আমাদের কৃষি বিশেষজ্ঞদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। যদি জমি না কমতো তা হলে ফসল অনে বেড়ে যেতো।
নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নরসিংদী হলো শিল্প প্রধান এলাকা। ইটের ভাটাও এখানে কম নয়। শিল্পের বর্জ্যে আমাদের ভূমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উর্বর ভূমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট তৈরী হচ্ছে। এটাকে রোধ করতে না পারলে আমাদের মৃত্তিকা সম্পদ রক্ষা বা মৃত্তিকা দিবস পালনের উদ্দেশ্য সফল হবে না।
তিনি বলেন, মাটির গুরুত্ব কৃষকদের বোঝাতে হবে। নরসিংদীতে ৬৫০ হেক্টর জমি এখনও অনাবাদি আছে। এগুলোতে কৃষকরা যেন অতিরিক্ত সার ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য কৃষকদের সচেতন করতে হবে।