• নরসিংদী
  • বুধবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  বুধবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

নরসিংদীতে মুক্তিযোদ্ধা ও পেশাজীবিদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩০ পিএম
নরসিংদীতে মুক্তিযোদ্ধা ও পেশাজীবিদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
ছবি প্রতিনিধি

স্টাফ রিপোর্টার: ২৬ মার্চ ঐতিহ্য ও গৌরবময় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকারের উদ্যোগে নরসিংদীতে আলোচনা ও শহীদ বীর সেনাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় নরসিংদী শহরস্থ শেরেবাংলা ক্লাব প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী শহর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ও শেখ মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার সাহা।

এসময় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি ড. ফারহানা জেসমিন মুন, স্বাধীনতা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য সুভাষ সাহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি ( কমান্ডার) বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সবুজ আলী, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সাহা, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মোহাম্মদ মঞ্জুর, নজরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল সিরাজী, জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাবেক সভাপতি মাসুদ করিম রাজা সরকার, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব হিরু সরকার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 

প্রধান অতিথি সিনেট সদস্য রঞ্জিত সাহা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগামীদিনের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হলে বর্তমান সময়ে আশরাফ হোসেন সরকারের কোন বিকল্প নেই। নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এ জেলার নেতৃত্ব ধরে রাখতে হলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস আপনাদেরকে সামনে নিয়ে আশরাফ সরকার এগিয়ে যাবে। আজকের সভাপতি আশরাফ সরকার নরসিংদীতে অতুলনীয়।

সে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রতিনিয়ত সন্মান করে এবং করে আসছে। তার এই কর্মকান্ডে আমি খুশি। তার মেধা ও তারুণ্যের শক্তি আশরাফ হোসেন সরকারের পাশে আমি থাকবো। তিনি আরও বলেন আজ স্বাধীনতা দিবস। সরকার অফিস আদালত ও স্কুল কলেজ ছাড়া বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। আজকের যিনি আয়োজক আশরাফ সরকার এর কথা পূর্ববর্তী বক্তারাই বলে গেছেন। পূর্ববতী বক্তাগণের সাথে আমিও একমত। 

সভাপতি আশরাফ সরকার বলেন, আজ ২৬শে মার্চ। ঐত্যিহ ও গৌরবময় মহান স্বাধীনতা দিবস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলার জন্ম হতো না। আমরা পরাধীনতায় অবরুদ্ধ থাকতাম। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে পাক-হানাদার বাহিনীর পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশের স্থান পেতনা।

ওইদিন  রেসকোর্স বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যেমে গোটা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার কল্যাণেই আজ আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলতে পারি। স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারি। তিনি চিরঞ্জীব।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। আমি আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মমতাময়ী মা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রাজনীতি করি। তার নির্দেশ মোতাবেক দলীয় ও জাতীয় সবগুলো অনুষ্ঠান পালন করেছি। পদ-পদবী বড় কথা নয়, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শবান কর্মী ও মাননীয় নেত্রীর নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই দলকে সুসংগঠিত করা যায়। আমার কোন পদ-পদবী নেই আমার আছে নেত্রীর আস্থা ও ভালোবাসা এবং তৃণমূল নেতা- কর্মীদের শক্তিই আমার রাজনৈতিক প্রেরণা।

এছাড়াও  উপস্থিত বক্তাগণ সকলে বলেন,  তারুণ্যের অহংকার ও বর্তমান সময়োপযোগী নেতা আশরাফ হোসেন সরকারের মাধ্যমে আমরা তথা নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব। আমরা আশরাফ সরকারকে আগামীদিনে নরসিংদী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই।  অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ডপার্টি নিয়ে সভাস্হলে আসতে থাকে। কোরআন তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ, জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশন ও স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীন যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন।

এরপরই মঞ্চের পাশে খোলা জায়গায় রং-বেরঙের আতশবাজি ফুটিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার যুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মা মাগফেরত কামনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় দারুলউলুম দত্ত পাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমাম মাওলানা হাফেজ আসাদুজ্জামান।

উৎসব / দিবস বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ