স্টাফ রিপোর্টার: ১২ ডিসেম্বর নরসিংদী মুক্ত দিবস, নরসিংদীবাসীর জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও স্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ নয় মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ডযুদ্ধ হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে নরসিংদী মুক্ত হয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিজয় র্যা লী, আলোচনা সভা ও বিজয় কনসার্ট।
দিসবটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী সার্কিট হাউজ থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যা লী বের করা হয়। কোর্ট রোড প্রদক্ষিণ করে র্যা লীটি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের নেতৃত্বে বিজয় র্যা লীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মৌসুমী সরকার রাখীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো: নূরুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ৭১ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, গোলাম মোস্তাফা মিয়া, নরসিংদী প্রেসক্লাব সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম।
এছাড়া নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে বিজয় কনসার্ট এর আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
নরসিংদী মুক্ত দিবস ২০২৩' যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের আয়োজনের বিজয় কনসার্টে দেশসেরা ব্যান্ড ও একক শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। বিজয় কনসার্টে একক শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন ঐশী, ব্যান্ড 'আর্ক ও 'ওয়ারফেজ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পটাকাসহ আকর্ষণীয় রং বেরঙের আতশবাজি। এ আতশবাজির আলোয় নরসিংদীর মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠে।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয় নরসিংদী জেলা। সমাপ্তি ঘটে ৯ মাসের শ্বাসরুদ্ধকর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খন্ডযুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হন ১১৬ জন বীর সন্তান।