স্টাফ রিপোর্টার: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা করেছে নরসিংদী জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মত বিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
নরসিংদী জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম আপেল’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব দিপক কুমার বর্মন প্রিন্স’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাহাদত হোসেন বিপ্লব, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক দল সদস্য সচিব মো. শফিকুল রহমান মিঠু, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খবিরুল ইসলাম বাবুল, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া প্রমূখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, শহর বিএনপির সহ সভাপতি কবির আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সালমা আক্তার সপ্না, জেলা বিএপির নির্বাহী সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ মাহমুদ চৌধূরী সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ফকির রনিসহ জেলা বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মত বিনিময় সভায় প্রধান বক্তা বলেন, "ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী এই অবৈধ শাসক গোষ্ঠী। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক সহিংস আক্রমণ শুরু করেছে। সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আক্রমণ চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর জখম করেছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর জখমসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হলো আওয়ামী অবৈধ শাসন নিয়ে কেউ যেন প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়।
বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়া হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগকে সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ মনে করছেন তার চিকিৎসকরা। তার লিভারে যন্ত্র ও হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হলেও তা স্থায়ীভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে তার যে বয়স তাতে স্থায়ীভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব কি না দেখা প্রয়োজন। যেটি করতে বিদেশ নিতে হবে । বেগম জিয়ার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেন অন্তত ছয়বার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় দেশেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’
বক্তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত দেখতে চায়। আমরা তাকে মুক্ত দেখতে চাই। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করবো। দেশের সকল আন্দোলনে কৃষকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তারা সব সময় প্রথম সারিতে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে ও কৃষকরা জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলবে। আমাদের একটাই দফা প্রিয় নেত্রীর মুক্তি। কোন মামলা, জেল দিয়ে আমাদের আটকিয়ে রাখা যাবে না। সকল বাঁধা পেরিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।