জাগো নরসিংদী ডেস্ক: এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। এ মাসকে বলা হয় আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও তাকওয়া অর্জনের মাস।
মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ইবাদতের মাধ্যমে পবিত্র এ মাস কাটায় মুসলমানরা। আর ইবাদতের জন্য প্রয়োজন শারীরিক শক্তি ও সামর্থ্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় এ সময় অনেকের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। যা স্বল্প সময়ে খাবারের মাধ্যমে পূরণ করতে হয়।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রমজান মাস গরমকালে। ফলে রোজাদারদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় রমজানে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে তা স্বাস্থ্যকর কিনা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
প্রথাগত খাদ্যের বাইরে সামর্থ্যের মধ্যে সর্বাধিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রাতের বেলায় বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বয়স্ক ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা রাখবেন।
যেসকল খাবার গ্রহণ করতে হব
একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ওজন ভেদে ১৬০০ থেকে ২০০০ হাজার ক্যালরি খাবার থেকে গ্রহণ করেন।
রমজানে সারাদিন মানুষ না খেয়ে থাকে। ফলে ২৪ ঘণ্টার চাহিদা অল্প সময়ের মধ্যে পূরণ করতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যা শরীরে জন্য ভালো, আবার কিছু খাবার কম ভালো বা কিছুটা ক্ষতিকরও।
রমজানে ভালো খাবারগুলো বেশি, আর কম ভালো খাবারগুলো কম খেতে হবে। তবে রোজার সময় একজন ব্যক্তি যে খাবার খাক না কেন তা সাধারণ সময়ের মতো খারাপ হয় না। কারণ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় শরীরে ক্যালরির অনেক ঘাটতি থাকে। এতে শরীরের খাবার গ্রহণের সক্ষমতা বেড়ে যায়।
ভাজাপোড়া খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শত বছর ধরে প্রথাগত ইফতার হিসেবে তৈলাক্ত খাবার খেয়ে আসছি। আসলে রমজানে এসব খাবার খেলে স্থায়ীভাবে এত বেশি সমস্যা হয় না। কারণ না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীর তা গ্রহণ করে নিচ্ছে।
রমজানে আমরা যে তৈলাক্ত খাবার খাই তাতে ক্যালরিটা অল্প খাবারেই চলে আসে। ফলে তা সাধারণ সময় আমাদের জন্য যতটা ক্ষতির কারণ হয়, রমজানে তা হচ্ছে না। কারণ আমাদের শরীর তা গ্রহণ করে নিচ্ছে। তবে ভাজাপোড়ার থেকে যে খাবারগুলো সুপাচ্য বা সহজে হজম হয় ওই খাবারগুলোই বেশি খাওয়া উচিত।
যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, রক্তে চর্বি বেশি, ওজন বেশি তাদের সতর্ক থাকা খুব জরুরি।
সূত্র : ঢাকা মেইল