স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে আন্দোলনকারীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা তিনটা থেকে মহাসড়ক দখলে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকে আন্দোলনকারীরা।
এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর থেকে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আন্দোলকারীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের স্লোগানির স্লোগানে পুরো মুখর হয়ে ওঠে জেলখানা মোড়ের চারপাশ।
বিকেল পৌনে ৬ টায় মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে আজকের দিনের কর্মসূচি শেষ করে আন্দোলনকারীরা পরবর্তী দিন রবিবারের (৪ আগস্টের) কর্মসূচি ঘোষণা দেন তারা। কর্মসূচি শেষে মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা সরে গেলে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে লক্ষণীয় যে শনিবারের কর্মসূচিতে নরসিংদীর জেলখানা মোড়ের আশেপাশে কোন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদেরকে কোনো রকম পুলিশি বাধায় পড়তে হয়নি।
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সরকার চাকরিতে কোটা বাতিল করে। এটি চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রিট করেন। গত জুন মাসে হাইকোর্ট কোটা বহাল রাখেন।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকে আন্দোলন বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রামে এক ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন, ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ছাত্রলীগ কর্মী ও একজন হকার এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আর ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষিত হয়। ওইদিন সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সংঘাত ২১ জুলাই পর্যন্ত চলতে থাকে। ঘটে শতাধিক প্রাণহানি। বিভিন্ন স্থাপনায় ধংসযজ্ঞ চালানো হয়।
এর মধ্যে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। তারপরও সংঘাত না থামায় কারফিউ জারি করা। মামলা হয়। চলে গ্রেফতার ও ব্লক রেইড।
এমন পরিস্থিতে বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।