স্টাফ রিপোর্ট: নরসিংদীতে অটোরিকশা ছিনতাই করার জন্য চালক বন্ধু টুটুলকে খুন করার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন চরদিঘলদী ইউনিয়নের দুয়ানী গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম (৪৭), একই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল কাদির (৪৮), মৃত আঃ ছামাদের ছেলে আব্দুল কাদির (৫১)।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও ছিনতাইকৃত মিশুক উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্নিবাণ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিশুক ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে অটো চালক টুটুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু খোরশেদ আলম ও তার দুই সহযোগী ছোট কাদির ও বড় কাদির।
পরিকল্পনা অনুযায়ী টুটুলের মিশুকটি গাজীপুর থেকে কালিগঞ্জ যাওয়ার জন্য ভাড়া করে।
কালীগঞ্জ আসার পর তাকে নিয়ে আবারো ঘোড়াশাল আসে। পরে নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নরসিংদী মডেল থানাধীন শীলমান্দি ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামে গনেরগাঁও মাদ্রাসা সংলগ্ন জনৈক জিএম তালেব এর পুকুরের কাছে নির্জন জায়গায় মিশুকটি থামিয়ে তারা টুটুলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তাকে ছুরিকাঘাত ও গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি পুকুরে ফেলে চলে যায়।
পরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমে নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ, এসআই শামীম ও প্রান কৃষ্ণ সহ পুলিশের একটি টিম গাজীপুর জেলার গাছা, বাসাইল, নরসিংদী জেলার সদর ও মাধবদী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জাগো নরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম