• নরসিংদী
  • রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার 


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১১ এএম
রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার 

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমন মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)  দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ হাজারী বাড়ী এলাকায় ধর্ষিতা ওই তরুণীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় রায়পুরা থানা পুলিশ। 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ করেছেন। 

গ্রেফতারকৃত  পুলিশ কনস্টেবল ইমন রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে মাহে আলমের ছেলে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় কন্সস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ মাস পূর্বে ওই তরুণীর সাথে পুলিশ কনস্টেবল ইমনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক।

সম্পর্কের সূত্রে বিভিন্ন সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে একাধিক বার শারীরিক সর্ম্পক করে ইমন। রবিবার ওই তরুণীর বাড়িতে তার সাথে দেখা করতে  আসেন ইমন। সেদিনও পুনরায় শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। এ সময় তাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায় এবং অস্বীকৃার করে সে।

এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তাদের গলার আওয়াজে পরিবারের লোকজন সেখানে এসে হাজির হয়।  এসময় তারা পুরো বিষয় অবগত হয় এবং তাকে আটক করে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার  স্থানীয়দের সহায়তা ইমনকে পুলিশে সোপর্দ করে ।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এর আগে এক প্রবাসীর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। পরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে কনস্টেবল ইমনও বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের জনক। 

এ ঘটনায়  ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পরে ভুক্তভোগীর করা ধর্ষণ মামলা  মামলায় তাকে গ্রেফতার  দেখিয়ে  আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, বিয়ের কথা বলে আমার সাথে একাধিক বার শারীরিক মেলামেশা করেছে ইমন। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমি ইমনে বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাফায়েত হোসেন পলাশ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমনকে তরুণীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরুণী  বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারকৃত  ইমনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
 

আইন ও আদালত বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ